হাওজা নিউজ এজেন্সি: কুরআন ও হাদীসের উদ্বৃতি উল্লেখ লিখেছেন জনাব নাজমুল হক। লেখাটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরছি:
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُفَضّل عَنِ الْمُفَضَّل بن عُمَرَ قَالَ: سَأَلْتُ سَيْدِي الصَّادِقَ عَلَيْهِ السَّلَامُ هَلْ لِلْمَأْمُورِ الْمُنتَظَرِ الْمَهْدِي عَلَيْهِ السَّلامُ مِنْ وَقْتِ مُوَقِّتِ يَعْلَمُهُ النَّاسُ فَقَالَ حَاشَ لِلَّهِ أَنْ يُوَقتَ ظُهُورَهُ بِوَقْتِ يَعْلَمُهُ شِيعَتُنَا
মুফাজ্জাল ইবনে ওমর বলেন, আমি আমার নেতা, ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম: “ইমাম মাহদী (আ.)-এর আবির্ভাব কি কোনো নির্ধারিত সময়ে হবে, যা মানুষ জানতে পারবে?”
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) উত্তরে বললেন, “আল্লাহ্ এর থেকে অনেক পবিত্র যে, তিনি তার আবির্ভাবের নির্ধারিত সময় এমনভাবে নির্ধারণ করবেন যে আমাদের শিয়ারা তা জানতে পারবে।”
[বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড- ৫৩, পৃষ্ঠা-0১]
আলী ইবনে ইয়াকতিন, যিনি ইমাম মুসা কাযিম (আ.)-এর বিশিষ্ট শিষ্যদের একজন ছিলেন, তাঁর পিতাকে (যিনি সুন্নী ও আব্বাসীয় শাসকদের সমর্থক ছিলেন) বলেছিলেন, “যদি আমাদের জানিয়ে দেওয়া হত যে, আমাদেরকে কয়েকশ বছর অপেক্ষা করতে হবে, তাহলে শিয়ারা হতাশ হয়ে যেত, তাদের অন্তর কঠিন হয়ে যেত এবং অধিকাংশ মানুষ সম্ভবত ইসলাম (তথা শিয়া) থেকে ফিরে সুন্নী হয়ে যেত। তাই সর্বদা বলা হয়েছে যে, '(ইমাম মাহদীর) ফারাজ বা পুনরাগমন শীঘ্রই ঘটবে', যাতে মানুষের অন্তর হতাশ না হয়।”
সুতরাং যুহুর বা আবির্ভাবকে নিকটবর্তী বলা মিথ্যা নয়, কারণ যে কোনো বিষয় যা ভবিষ্যতে অবশ্যই ঘটবে, তা নিকটবর্তী গণ্য হয়। যেমন আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বহুবার কুরআনে কিয়ামতের ঘটনাকে নিকটবর্তী বলে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
اقْتَرَبَ لِلنَّاسِ حِسَابُهُمْ وَهُمْ فِي غَفْلَةٍ مُّعْرِضُونَ
মানুষের হিসাব-কিতাবের সময় নিকটবর্তী; অথচ তারা বেখবর হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। [সুরা আন্বিয়া- ০২]
এই নিকটবর্তী বলা শিয়াদের জন্য একটি উত্তম কল্যাণ বয়ে এনেছে, যা ইমামদের (আ.) প্রজ্ঞারই অংশ। ইমাম মাহদির (আ.) আবির্ভাবের জন্য উত্তম প্রস্তুতি গ্রহণ করাই শিয়াদের কর্তব্য। আল্লাহ্র কাছে তাঁর আবির্ভাব ত্বরান্বিত করার জন্য প্রার্থনা করা উচিত।
আল্লাহ্ আমাদের সকলকে ইমাম মাহদির (আ.)-এর প্রকৃত অনুসারী হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন!
আপনার কমেন্ট